সাবেক এমপি রতনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- আপলোড সময় : ০৮-০১-২০২৫ ১২:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০১-২০২৫ ১২:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ পৌর শহরে তার বাড়িতে গিয়ে সেটি পরিমাপ করেছে দুদকের একটি দল। এর আগে গত সোমবার তাঁর গ্রামের বাড়ি জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামে গিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। আজ বুধবার যাবেন তাহিরপুর উপজেলায়।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় থাকা সাবেক এমপি রতনের বাড়ি ‘স্পর্শ স্পন্দন ড্রিম হাউসে’ যান দুদকের অনুসন্ধান দলের কর্মকর্তারা। সঙ্গে সুনামগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরাও ছিলেন। তাঁরা বাড়িটি পরিমাপ করেন। এই বাড়ির নাম আগে ছিল ‘পায়েল ভিউ’। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। বাড়িটি পরিমাপ ও মোয়াজ্জেম হোসেনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) কয়েকজন সদস্যও সেখানে ছিলেন। সোমবার একইভাবে ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামের তাঁর বিলাসবহুল বাড়ি ‘হাওর বাংলায়’ গিয়ে সেটির পরিমাপ করা হয়।
অনুসন্ধান দলের সদস্য দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া জানান, মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। ৫ আগস্টের পর আরও কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পরিচালক আবদুল মাজেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল তাঁর অবৈধ স¤পদের অনুসন্ধান করছে। এই দলের বাকি দুই সদস্য হলেন দুদকের অতিরিক্ত পরিচালক গুলশান আনোয়ার ও উপসহকারী পরিচালক এলমান আহমেদ।
মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া জানান, আগেও মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ স¤পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগে অনুসন্ধান হয়েছে। সেগুলোর তথ্য দুদকে আছে। এখন সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় অনুসন্ধান চলছে। তারা সব জায়গায় যাবেন। অনুসন্ধান শেষে দুদকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন।
দুপ্রকের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য রাজু আহমেদ জানান, পৌর শহরের ওই বাড়িতে মঙ্গলবার মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিলেন। দুদক কর্মকর্তারা মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শহরের এই বাড়ি মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে নয়, এটি তাঁর স্ত্রীর নামে বলে জানা গেছে। ২০০৭ সালে বাড়িটি কেনা হয়েছিল। পুরোনো বাড়ির উত্তর পাশেই আরেকটি প্লটে নতুন করে দোকানপাট তৈরির কাজ চলছে। এটি পরে কিনেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ